অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে তারা জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামি হলো- রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে খোরশেদ আলম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই আরিফুজ্জামান খান বলেন, ‘গরুর গলা থেকে রশি খুলে নেওয়া এবং খুঁটিতে আঘাত করার কাঠের টুকরো নিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে জালাল উদ্দিন ও তার ছোট ভাই কামাল হোসেনকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত গ্রেফতার দুই জন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৪৬ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা পিতা-পুত্র চার জন মিলে ওই দুই জনকে ছুরিকাঘাত এবং পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে।’
এর আগে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পদুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে জহির আহমেদের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮) ও তার ছোট ভাই কামাল হোসেনকে (২৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে তাদের বাবা জহির আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ওই এলাকার শফিকুল ইসলাম ও তার তিন ছেলে খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম ও সাইফুল আলমকে আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর এর সঙ্গে জড়িত শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে খোরশেদ আলমকে ধরে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে জালাল তার গরুকে খাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে বেঁধে আসেন। পরে গিয়ে দেখেন তার গরুর গলার রশি কেউ খুলে নিয়ে গেছেন। খুঁজতে গিয়ে খুঁটিতে আঘাত করার কাঠের টুকরোসহ দড়িটি শফিকুলের হাতে দেখতে পান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। শফিকুলের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায়। পরে এর জের ধরে সন্ধ্যায় জালালের ওপর হামলা চালান শফিকুলের তিন ছেলে খোরশেদ, মোরশেদ ও সাইফুল। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার ভাই কামালসহ প্রতিবেশী ইদ্রিছ ও তার তিন সন্তান এগিয়ে আসেন। তখন প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন দুই ভাই জালাল ও কামাল। পরে তাদের উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মামলার চার আসামির মধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই জন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply